তুফানের দাম উঠেছে ৮ লাখ, পৌঁছানো হবে ক্রেতার বাড়িতে
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে ফ্রিজিয়ান জাতের গরু তুফান। এক হাজার ১০০ কেজি ওজনের এই পশুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে আট লাখ টাকা। এই তুফানকে নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের ফুলজান অ্যাগ্রো ফার্মের তুফান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়। ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য গরুটি বিক্রি হবে বলে আশা করেছেন খামারি। তুফান ছাড়াও ব্রাহমা, সিন্ধু, শাহীওয়াল জাতের আরও ৩৩টি বিভিন্ন জাতের ষাড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই ফার্ম থেকে তুফানসহ অন্যান্য ষাড় কিনলে তা ক্রেতার ঠিকানায় বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ।
ফুলজান অ্যাগ্রো ফার্মে গরু দেখতে আসা আলহাজ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে হাটে গিয়ে গরু কেনা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমি গত বছরের মতো এ বছরও ফার্ম থেকেই গরু নিয়ে কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছি। তাই ফার্মে গরু দেখতে এসেছি।’
ফুলজান অ্যাগ্রো ফার্মের পরিচালক ফুল মোহাম্মদ সবুজ বলেন, ‘আমি অনেক বছর যাবত এই ফার্ম পরিচালনা করে আসছি। শুরু থেকেই হালাল পদ্ধতিতে ও প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু বড় করে আসছি। এই ফার্মের গরুতে কোনো কীটনাশক কিংবা রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না। গরুগুলোর সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া আছে। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা কয়েকটি গরু কিনেছেন। আশা করি ঈদের আগে সবগুলো গরুই বিক্রি হয়ে যাবে।’
এদিকে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলার খামারিরা তিন লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গত বছর কোরবানিতে এর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯৮২টি। সেই হিসাবে এবার প্রায় এক লাখ ২২ হাজার ৪৩৩টি পশু বেশি প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের কারণে পশুর হাটগুলো সচল না থাকায় হতাশায় পড়েছেন তারা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ২৮টি কোরবানির হাট চালানোর ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই ঘোষণায় অনেকটাই খুশি জেলার খামারিরা।
জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, নওগাঁ জেলাসহ দেশের খামারিদের গবাদি পশুগুলো বিক্রি করার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যে সব খামারি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গরু নিতে চায়, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি খামারিদের লোকসান হবে না।