তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন পরিবেশবাদীরা
তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন পরিবেশবাদিরা। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিবেশবাদীরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, আমরা স্পষ্ট বলেছি এখানে যে কাজটা হচ্ছে, আমরা চাচ্ছি দ্রুততম সময়ে তা বন্ধ করা হোক। ঈদের জামাত ওখানেই হোক, যেটা সব সময় হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি চেষ্টা করবেন। যেহেতু টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিকল্প জায়গা খোঁজা হবে। আমাদেরও বলেছেন সহায়তা করতে। সবাই মিলে একটা বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করা দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি আলোচনা হোক। এ সময় কনস্ট্রাকশন কাজ বন্ধ থাকবে। কাজ বন্ধের বিষয়ে তিনি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে নির্দেশ দিতে পারেন সেখানে তিনি আলোচনার কথা কেন বলছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, তিনি বলেছেন খেলার মাঠটার বিষয়টি তিনি নিজেও অনুভব করছেন। কিন্তু উনারা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তখন আমরা বলেছি, সেটা তো রাষ্ট্রীয় কোষাগারেই আছে। ওই এলাকায় আরও অনেক পরিত্যক্ত জায়গা আছে। একটা জায়গার কথা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
আমরা বলেছি, দেওয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। কারণ এলাকাবাসী চরম অস্বস্তিতে আছে। পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী মুখোমুখি হোক, এটা আমরা চাই না। যদি এখানে দেওয়াল হয়, ঈদের জামাত হতে পারবে না। দেওয়াল নির্মাণটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেওয়াল নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে আমি এখনই ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলছি। আর এটার বিকল্প অন্য কোনো জায়গায় যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি।’
গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই স্বাক্ষর করে আপনাকে একটি চিঠি পৌঁছে দেবো প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য। তিনি সেই চিঠি পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছেন। আমরা আগামীকাল চিঠি পৌঁছে দেবো।
আমরা জানতে চেয়েছিলাম আপনার সঙ্গে মিটিং করে বাচ্চাদের আমরা কী বলবো, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। বিকল্প জায়গার বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। আশা করি আমাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চয়ই কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা বুঝেছি তিনি বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখবেন, বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা।