দলীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও!
মাদারীপুরের ডাসারে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন ইয়াছমীন প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এতে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। আজ রোববার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বিকেলে ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডাসারের ইউএনও শারমীন ইয়াছমীন। তবে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দলীয় অনুষ্ঠানে অতিথি করায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর আইন সহায়তা কেন্দ্র লিগাল এইড অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ উপবিধি (সংশোধিত) ২০০২ সালের সংশোধিত বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না এবং রাজনৈতিক দলের দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।'
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শারমীন ইয়াছমীন বলেন, ‘আমি প্রধান অতিথি ছিলাম এবং ডাসার থানার ওসি বিশেষ অতিথি ছিলেন। সাধারণত দলীয় কোনো কর্মসূচিতে আমরা যাই না। যেহেতু ডাসার একটি নবগঠিত উপজেলা ও প্রধানমন্ত্রীর দুঃখের একটি ঘটনা জড়িত—তাই এই দুটো ইস্যুর কারণেই আমি অনুষ্ঠানে গিয়েছি।’ এটা চাকরিবিধি লঙ্ঘন কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা চাকরিবিধি লঙ্ঘন কেন হবে? একটা জায়গায় গেলেই কি চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়ে যায়?
এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদুল হাসাল দোদুল বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও শারমীন ইয়াছমীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ওসির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি।’
ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।