দলীয় পদে ফেরার সম্ভাবনা সোহেল তাজের, জানালেন বোন মেহজাবিন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ দলীয় পদে আসছেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁর বোন মেহজাবিন আহমেদ মিমি। গতকাল বৃহস্পতিবার মেহজাবিন তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন কথা জানিয়েছেন।
মেহজাবিন আহমেদ মিমি তাঁর ফেসবুক পেজে যা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন ইনশাআল্লাহ।’ এরপর ভক্তদের অভিনন্দনে ভরে ওই স্ট্যাটাস।
আসন্ন সম্মেলনে আওয়ামী লীগে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে আলোচনা রয়েছে। বর্তমানে কার্যনির্বাহী সংসদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন, এমন জায়গা থেকে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। আবার দলের তরুণদের মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্বও আনা হতে পারে। দলের গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনী বা সংযোজন আসতে পারে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে আনা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যাঁরা নিজেকে বিতর্কিত করেছেন, তাঁদের অনেককে বাদ দেওয়া হবে। আবার কাউকে কাউকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের একমাত্র ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ। ২০০১ ও ২০০৯ সালে গাজীপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। তবে একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন এবং ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগপত্র জমা দেন। যদিও প্রক্রিয়াগত ভিত্তিতে তা গ্রহণ না করা হলে ৭ জুলাই তিনি আবার পদত্যাগপত্র পেশ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। এরপর ওই আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি।
সংসদ সদস্যপদ ছাড়ার পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সোহেল তাজকে দেখা না গেলেও ‘হট লাইন কমান্ডো’ নামে সচেতনতা কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সোহেল তাজ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। তাঁর জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সব সময় খোলা। তিনি নিজ ইচ্ছায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে একটু দূরে ছিলেন। এখন চাইলে আবার আসবেন। আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও চান সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। জাতীয় চার নেতার সন্তানেরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকুক, এটি নেত্রীও চান।’
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব কাউন্সিলরদের। যদিও কাউন্সিলররা বরাবরই এ দায়িত্ব তুলে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাঁধে। তাই সোহেল তাজকে কোন পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর।