দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা, শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে সমাবেশ করায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
গত ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগরের বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীও উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি সমর্থক সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক বৈঠকে গত ১ এপ্রিল তাঁকে বহিষ্কার করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরের বছরের ১৩ ডিসেম্বর ‘সরকার পতনের’ লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য গত ২৭ মার্চের সমাবেশে হাফিজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন না।