দিনকালের ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
আইন মেনে সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও অন্যায়ভাবে জাতীয় দৈনিক দিনকালের ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এক সাথে যায় না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণমাধ্যমের ওপর খড়গ নেমে এসেছে। ১৯৭৫ সালে ৪টি পত্রিকা রেখে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবারও ক্ষমতায় এসে অসংখ্য পত্রিকা ও টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের সর্বশেষ আক্রান্তের শিকার দৈনিক দিনকাল। অতীতেও গণমাধ্যম বন্ধ করে সরকারের শেষ রক্ষা হয়নি, এবারও দিনকালসহ বিভিন্ন মিডিয়া বন্ধ করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে দিনকালের প্রকাশনা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে শীর্ষ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র (একাংশ) দৈনিক দিনকাল ইউনিটের আয়োজনে আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে কদম ফোয়ারা মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। দিনকালের ইউনিট চিফ আবদুল্লাহ জেয়াদ এর সভাপতিত্বে এবং দিনকালের বার্তা সম্পাদক ও ডিইউজের সহ সভাপতি রাশেদুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য দেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি ও দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ডিইউজের সহ সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সাজু, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ গাযী আনোয়ার, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আব্দুস সেলিম, একেএম মহসীন, জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুই প্রমুখ।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দিনকাল বন্ধ করেছে। দিনকাল বন্ধের প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। এজন্য এই সরকারের পতন আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। অবিলম্বে দিনকাল খুলে না দিলে সারা দেশে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের কাজই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা। স্বাধীনতার পর তারা ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবারও তারা দিনকালসহ অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা গণমাধ্যমের ওপরে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাচ্ছে।