দিনাজপুরের আত্রাই নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলাধীন আত্রাই (করতোয়া) নদী খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, তা সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা।
আজ রোববার দুপুরে আত্রাই নদীর খনন কাজ দেখতে সরেজমিনে আত্রাই সেতু ও খামারপাড়ার দাসপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামাল হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন।
স্থানীয় যুবক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘যা হয়েছে দায়সারা কাজ হয়েছে। আমি স্বচক্ষে কাজ দেখেছি। কাজ তেমন ভালো হয়নি এবং বেশির ভাগ জায়গায় খনন করা হয় নাই।’
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানান তিনি।
এ ছাড়া ওই এলাকার জনগণ নদীভাঙনের দুঃখ ও কষ্ট তুলে ধরে নদী খননে অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেয়। তারা জানায়, নদীতে খনন কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের কাজ করেনি। আর যতটুকু কাজ করেছে, তাও দায়সারা ভাবে খনন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। এমতাবস্থায় নদী ভাঙন রোধে তা পুনরায় খনন করে পানির গতিপথ ঠিক করে দিতে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
পরিদর্শন শেষে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার যোগদানের আগেই নদীর খনন কাজ করা হয়েছে। সঠিক নিয়মে নদী খননের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, ‘নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে এবং নদীভাঙন রোধে খনন অনেক কার্যকরী। এই কাজে অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের ৬৪ জেলায় ছোট নদী-খাল, জলাশয় পুনর্খনন (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুর জেলার খানসামায় আত্রাই (করতোয়া) নদী খনন কাজে উত্তর কাশিমনগর ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হতে নরবলী বাজার পর্যন্ত ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার নদী খননের টেন্ডার হয়। কবে, কোথায় এ টেন্ডার হয়, তা কেউ জানে না। এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠান এ কাজ পায়, তা ও জানায়নি পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকাবাসী এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।