দিনাজপুর সদরে লকডাউন শুরু, চলছে ঢিলেঢালাভাবে
সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরের সদর উপজেলায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জারি করা লকডাউন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ২১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত সাতদিন এই লকডাউন চলবে। জেলা করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
এদিকে, আজ সকাল থেকে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে কাঁচাবাজার, ফার্মেসি ও মুদি দোকান। এ ছাড়া কঠোর লকডাউন বলতে যেটি বোঝায়, তা এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। সকালে প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, বাস, ট্রাক্টরসহ যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতেও দেখা গেছে জনসমাগম।
এ ছাড়া নিম্নআয়ের মানুষদের কাজের জন্য ভিড় করতে দেখা গেছে। রেলস্টেশনে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শহরজুড়ে টহল দেওয়া হচ্ছে। শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে চলতি মাসে ১৩ দিনে করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত রোববার রাত ৮টার দিকে জেলা করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির মিটিং শেষে সদর উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ জনে। এরপর প্রায় দেড় মাস ধরে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। পরে ২০ মার্চ জেলায় একজনের মৃত্যু হয়। চলতি জুন মাসের প্রথম থেকে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
গত ২ জুন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন, ৪ জুন দুজন, ৫ জুন তিনজন, ৬ জুন দুজন, ৭ জুন একজন, ১১ জুন একজন, ১২ ও ১৩ জুন ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচজন এবং ১৪ জুন একজনসহ জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, তিন সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সংক্রমণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই করোনা প্রতিরোধে এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই।