চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামে দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে আজ সোমবার রাতে। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান।

আসামিরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামে মিন্টু ওরফে কালু এবং আজিজ ওরফে আজিজুল।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য কারাগারে জল্লাদ হিসেবে মশিয়ার, কেতু, কামালসহ বেশ কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, গত শনিবার দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করেছেন। বিচারিক ও সব ধরণের আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৮ বছর পর এ মামলার রায় কার্যকর হতে যাচ্ছে।

জেলার বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তিন জল্লাদ ফাঁসি কার্যকরে অংশ নেবেন।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, আজিজুল ওরফে আজিজ এবং মিন্টু ওরফে কালু ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ব্যাপারে ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা হয়। এ মামলায় চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আসামি আজিজুল ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

পরে আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করে। ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টেও এই রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়।