দুদকের মামলায়ও সম্রাটের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আজ বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজা শেষ হয়ে গেছে। সর্বশেষ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আজ জামিন পেয়েছেন তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই।’
সম্রাটের আইনজীবী আরও বলেন, বিচারক সম্রাটকে তিন শর্তে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। শর্তগুলো হলো—আদালতের অনুমতি ব্যতিত তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না, তাঁর পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া তাঁর সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
পরে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাটকে ক্যাসিনো মামলায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।