দুর্গম ৬১৭ ইউনিয়নে ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় দ্রুতগতিতে চলছে এ কাজ। প্রকল্পটির আওতায় টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় উচ্চ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। ২০২৩ ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর তখন থেকেই দুর্গম ইউনিয়নগুলোও পাবে ইন্টারনেট সুবিধা।

জানা গেছে, উচ্চ নেটওয়ার্ক স্থাপনসহ প্রকল্পটির আওতায় সারাদেশে ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ইন্টারঅপারেবিলিটি, এফিশিয়েন্সি, ট্রান্সপারেন্সি, ইফেক্টিভনেস এবং কোয়ালিটি অফ সার্ভিসেস (এসওএস) বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প।

‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব জগদীশ চন্দ্র সরকার মনে করছেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ই-কমার্স, ই-সার্ভিস, টেলিমেডিসিনের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর ফলে দেশের নদীবহুল, অতি দুর্গম, পাহাড়ি এবং প্রত্যন্ত ৬১৭টি ইউনিয়নে ডিজিটাল বিভাজন বৈষম্য দূর হবে ।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয় কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প। যেখানে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ধরা হয়েছে ৫০৪৪৩.৩১ লাখ টাকা।

টেলিযোগাযোগ সুবিধা বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরিচালিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওফ)’ এর অর্থায়নে কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮ হাজার ১০৬ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন, ইউনিয়নে ব্যাকবোন রাউটার ও ডিসি পাওয়ার সিস্টেম স্থাপন এবং পপরুম সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড খুলনা থেকে ৮ হাজার ১০৬ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও ৫ হাজার কিলোমিটার ডাক্ট পাইপ ক্রয় করা হয়েছে গত মাস পর্যন্ত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, পপরুম রেনোভেশন এর কার্যক্রম প্রায় ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কার্যক্রম প্রায় ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৬২ জন দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী টিম এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে।