দেওলিয়া ব্যাংকে বিপিসি কোন স্বার্থে জনগণের টাকা রেখেছে : চুন্নু
সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসিতে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা জমা আছে। ওই ব্যাংক গুলোর অবস্থা খুব কাহিল, ওই ব্যাংক গুলো ঋণ দিয়ে তাদের এখন মূলধন নেই। এই টাকা যদি বিপিসি চায় ক্যাশ করতে, তাও করতে পারবে না। এ ছাড়া, আমার প্রশ্ন ওই সব ব্যাংকে বিপিসি কোন স্বার্থে জনগণের টাকা রাখলো ?
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চুন্নু এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে সরকার বলেছে, আর্ন্তজাতিক মার্কেটে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ডলারের ক্রাইসিস তাই সরকার তেল কিনতে পারছে না, সেজন্য মূল্য বৃদ্ধি করছে। এখন, প্রশ্ন হলো—যখন মূল্য বৃদ্ধি হলো প্রতি ব্যারেলে ১৮০ ডলার পর্যন্ত , তখন করেন নাই। যখন মূল্য আস্তে আস্তে নিচে নামতে থাকল, তখনই আপনারা দাম বাড়িয়েছেন কেন?’
সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমরা গ্যাস আনতে পারছি না ও বিদ্যুতে আমাদের ক্রাইসিস। এই পেট্রোল, অকটেন এবং ডিজেলের কারণে। আমরা ক্রাইসিস ভোগ করছি। সারা দেশে লোডশেডিং হচ্ছে শুধু মাত্র জ্বালানির কারণে।’
চুন্নু আরও বলেন, ‘জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, সাত বছরে বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন জ্বালানি তেলের দাম যখন আর্ন্তজাতিক মার্কেটে কম ছিল, আমাদের দেশে সে তুলনায় দাম বেশি ছিল। ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা সরকার লাভ করে। গত কয়েক মাসে আর্ন্তজার্তিক মার্কেটে দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারের ভর্তুকি দিতে হয় আট হাজার কোটি টাকা। আমাদের প্রশ্ন হলো আট হাজার কোটি টাকা ভুর্তিকি দিয়েছেন, আরও তো ৪০ হাজার কোটি টাকা ছিল বিপিসির? ইচ্ছা করলে এটা কী এটা সমন্বয় করে দামটা আরও কমিয়ে ভর্তুকি দিয়ে দামটা সহনীয় করা যাবে বলে আমি মনে করি।’
চুন্নু বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা জমা আছে। ওই ব্যাংক গুলোর অবস্থা খুব কাহিল, ওই ব্যাংক গুলো ঋণ দিয়ে তাদের এখন মূলধন নেই। এই টাকা যদি বিপিসি চায় ক্যাশ করতে, তাও করতে পারবে না।’