দেশের অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। আগামী অর্থবছরে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও অগ্রগতির ধারা চালু থাকবে বলেও আশা করি।
আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ আশাবাদের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই একটি স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সচল রাখতে পেরেছি। অনেকেই ধারণা করেছিলেন আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। কিন্তু গত অর্থবছরে আমরা সেটি পেরেছি।
নতুন অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। তবে সুযোগও অনেক বেশি। আমরা সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই। আমরা এতে সফল হব।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা গত অর্থবছরটি বেশ ভালোভাবেই পার করতে পেরেছি। গত অর্থবছরে আমাদের রাজস্ব আদায় ছিল আমাদের প্রধান সমস্যা। রাজস্ব আদায়ে এখন আমাদের গ্রোথ ১৭ শতাংশ। রপ্তানিতেও ১৪ শতাংশ গ্রোথ আছে। রিজার্ভের পরিমাণও এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট ঘাটতি এ বছর পৃথিবীর সব দেশই অনুসরণ করছে। আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জনগণের কাছে টাকার জোগান দিয়েছি। এতে সবাই অন্তত খাবার পেয়েছে। মোটামুটিভাবে তারা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছে।
বিভিন্ন দেশের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ উল্লেখ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমেরিকার বাজেট ঘাটতি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চীনের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। সব দেশই বাজেট ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আজকের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে একটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।