দেশের কল্যাণে মকবুল হোসেনের অবদান চিরঅম্লান থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এবং সমাজের কল্যাণে আমৃত্যু নিবেদিতপ্রাণ আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের অবদান চিরঅম্লান থাকবে। আজ বুধবার (২৪ মে) সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মারা যাওয়ার আগে মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দলের প্রতিটি দুঃসময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে একজন প্রথম সারির কর্মী ছিলেন। তিনি সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মকবুল হোসেন ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। নানান নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে সেই আদর্শ ধারণ করেই সারা জীবন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।”
এক সময় ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকা ছিল সন্ত্রাস-মাদকের স্বর্গরাজ্য। সেই এলাকার সংসদীয় আসন ঢাকা-৯ থেকে মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি (মকবুল হোসেন) সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর গড়ে তুলেছিলেন। এলাকার সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, এতিমখানা এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখে সব সময় মকবুল হোসেন তাদের পাশে থেকেছেন। তাছাড়া তিনি মসজিদ, বাজার, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। একজন ধর্মভীরু মানুষ হিসেবে এবং ইসলামী চিন্তা-চেতনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এই জননেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।”
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রয়াত এই কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তাঁর সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন–এই প্রার্থনা করে শেখ হাসিনা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং মরহুম মকবুল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।