দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে বিচ্ছিন্ন ভোলা, আতঙ্কে ২১ লাখ মানুষ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে দ্বীপ জেলা ভোলায়। দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অবরুদ্ধ দ্বীপবাসী। দুর্যোগের পরবর্তী তিন ধাপের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে দুর্যোগকালীন প্রায় সব সাইক্লোন শেল্টার বন্ধ পাওয়ায় ক্ষোভ স্থানীয়দের। এমনকি মেডিকেল টিম গঠনের কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা মিলে না বলে নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ। গতরাতে হঠাৎ করেই বাতাস শুরু হয়। কিছুক্ষণ থাকার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পরে ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলবাসী।
ঢাল চরের ইউসুফ ও মনির বলেন, বাতাস শুরু হলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। খবরে শুনতে পাই ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার কথা। সাথে সাথে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মূল ভূখণ্ড চরফ্যাশন চলে আসি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আমরা নিজেদের রক্ষা করলেও বসত ঘর, ফসলি জমি, গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমরা কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না। ঝড় শেষ হলেও শেষ হয় না আমাদের সংগ্রাম। সরকারি সাহায্য আমাদের পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ঝড় এলেই এসব মানুষকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হন তারা। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে রয়েছেন ভয়ের মধ্যে। উপকূল জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দাবি উঁচু বাঁধ নির্মাণ।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা সার্বিক বিষয়ে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে তাদেরকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছি। বিপদ সংকেত দেওয়া হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।