দেশে কথা বলার অধিকার নেই : প্রিন্স
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছেই। ব্যাংকে টাকা নেই, গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নাই, পানি নেই, সবকিছুই যেন নেই আর নেই। এ অবস্থায় দেশের মানুষের বেঁচে থাকাই দায়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলে হামলার ঘটনা তুলে ধরেন।
প্রিন্স বলেন, ‘চারদিকে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। যেখানে বিএনপির কর্মসূচি, সেখানেই হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। বিএনপির সমাবেশে মানুষের স্রােত দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে সরকার। তাই পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে তারা।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘ব্যর্থ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ সরকারের পদত্যাগ, অনির্বাচিত সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আজ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে জনগণ অনুমান করেছিল আজ বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করা হবে। জনগণের অনুমানই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পঞ্চগড়সহ অন্যান্য স্থানে হামলা, হত্যা, নির্যাতন পূর্ব পরিকল্পিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশকে বিরোধীদল শুন্য করতে সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই পঞ্চগড়ের আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার দায় সম্পূর্ণ সরকারের।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে হত্যা করছে নেতাকর্মীদের। তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে ইতোপূর্বে ১৫ জন নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে।’
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রিন্স। এ ছাড়া আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। তিনি অবিলম্বে হত্যার ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলাবিষয়ক সহসম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. অবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার প্রমুখ।