দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ১২ হাজার ৬২৯ জন
১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জনশুমারি (আদমশুমারি) হয় বাংলাদেশে। এর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ ও ২০২২ সাল মিলে মোট ৬ বার জনশুমারি হয়। তবে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সে তালিকায় রাষ্ট্রীয়ভাবে স্থান পেল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ক্ষেত্রে মূল্যায়ন পেতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দীর্ঘদিনের যে দাবি তা বাস্তবায়নে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল তারা।
আজ বুধবার নগরীরর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে আট কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও আট কোটি ৩৩ লাখ নারী। আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের।
এলাকাভিত্তিক বিবেচনায় ৪ হাজার ৫৭৭ জনই বাস করেন ঢাকা বিভাগে। সবচেয়ে কম ৮৪০ জনের বাস সিলেটে। অন্য বিভাগের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৬৩ জন, চট্টগ্রামে ২ হাজার ২৬, খুলনায় ১ হাজার ১৪৮, ময়মনসিংহে ৯৭২, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৭৪ আর রংপুরে ৯২৯ জন বসবাস করেন।
সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা উত্তর সিটিতে (ডিএনসিসি) ৯০৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বসবাস। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৬৫৩ জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ৩৬৭, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে (জিসিসি) ৩৯৫, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) ৪৭, বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) ৩৯, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) ৫১, রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) ৪৭, সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) ১১৪, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে (মসিক) ৮৭, খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) ১০৯, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) ৯৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বসবাস করেন।
গণনায় সংখ্যার পাশাপাশি তাদের আরও বিভিন্ন তথ্যও উঠে এসেছে। দেশের মোট জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। লিঙ্গভেদে হিসাব করলে তাদের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এর পরিমাণ ৫১ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং শহরে ৫৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।