দেশে নতুন করে ‘বাসন্তী’খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পত্রপত্রিকায় জিনিসপত্রের দাম ও টিসিবির ট্রাকে মানুষের লাইন ধরা ছবি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র সমালোচনা করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘টিসিবির ট্রাকের পেছনের মিছিলটা পত্রিকায় বড় করে দেখানো হয়। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সমর্থিত কিছু পত্রিকা গোপনে বা প্রকাশ্যে নতুন করে বাসন্তী খোঁজার চেষ্টা করছে’।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৪ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও জিনিসপত্র না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিডিয়ার একটা প্রবণতা হলো ট্রাকের পেছনে মিছিলটা বড় করে দেখানো হয়। এখন অনেক পত্রিকায় বা নেতৃস্থানীয় পত্রিকায় এসব দেখি। দু-একটা বাংলা ও ইংলিশ পত্রিকায়ও দেখি এসব চিত্র। ছবি দিয়েছে যে রাস্তায় শুয়ে আছে কিন্তু ড্রেসটা দেখা যাচ্ছে সুন্দর শাড়ি। আমি যেটা বলতে চাই, একটা প্রচেষ্টা চলছে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সমর্থিত কিছু পত্রিকা, গোপন বা প্রকাশ্যে নতুন করে বাসন্তী খোঁজার চেষ্টা করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি সারা বিশ্বের সমস্যা। এটি সারা বিশ্বেই একই ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। রাশিয়ার যুদ্ধের আগেও মূল্য কম ছিল। আমাদের হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। মূল্যস্ফীতি আমাদের দেশের কারণে হচ্ছে না। আমাদের দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। চৈত্র মাসেও দেশের বাজারে পর্যাপ্ত শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের তথ্য তুলে ধরে ড. শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতির হার ১৫ দশমিক ১, পাকিস্তানে ১২ দশমিক ২ শতাংশ, ব্রাজিলে ১০ দশমিক ৪, ভেনিজুয়েলায় ৩৪০ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ, তুরস্কে ৫৪ দশমিক ৪ আর বাংলাদেশে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। তাদের তুলনায় আমরা ভালোভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করছি।