দেশে প্রায় এক কোটি তিন লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে
এ পর্যন্ত দেশের এক কোটি দুই লাখ ৯৩ হাজার ১৪৫ জন মানুষ করোনা (কোভিড-১৯) টিকার আওতায় এসেছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছে দেশের এক কোটি এক লাখ ১৪ হাজার ৯৩৪ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৫১৩ জন। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৯৮ জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৯ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৩৯ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৯১১ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৬ এবং নারী ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৯ জন।
আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ নয় হাজার ৭৩ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত সারা দেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৫১৩ জন। এদের মধ্যে ৮৪ হাজার ৬৪২ জন পুরুষ এবং ৭৭ হাজার ৮৭১ জন নারী রয়েছে।
সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এ ছাড়া ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৩৩ ও নারী তিন হাজার ৪৬৫ জন। গত ২১ জুলাই এই টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এরপর গত ১ জুলাই থেকে ফাইজারের প্রথম ডোজ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২৪৪ এবং নারী ১১২ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১৫ লাখ ২২ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে আট লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৯ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ আট হাজার ৮৬ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছে নয় লাখ ২০ হাজার ১১৫ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৯ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে চার লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছে ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার ২৯৬ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছে পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে চার লাখ ৯১ হাজার ৯২৫ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছে সাত লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ২১৫ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ৯৯৮ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছে তিন লাখ এক হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।