দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছে : পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেশে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আধিপত্যবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না।’
সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের সহকারি সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁর বাবার পথ ধরেই জনগণের নাগরিক ও ভোটাধিকার হরণ করেছেন। অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।’
এসময় বক্তব্য দেন ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি পীরজাদা ওমর ফারুক, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন মৃধা, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন বেগ, জাতীয়তাবাদী চালক দল সভাপতি মো. শাহজাহান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সভাপতি আনসার রহমান সিকদার, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান সবুজ, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল সভাপতি শেখ আলিম উল্লাহ আলিম, দেশরক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি আজিজা সুলতানা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ সভাপতি মো. ওমর ফারুক সেলিমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।’