দেশ ছাড়লেন ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজি সেলিম
দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম। তিনি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ দণ্ড মাথায় নিয়েই শনিবার বিকেলে গোপনে তিনি দেশ ছেড়েছেন। সেলিম থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পাড়ি জমিয়েছেন। কোন বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশ ছেড়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি ।
হাজী সেলিমের বড় ছেলে সোলাইমান সেলিম রোববার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করেছেন তার বাবা এখন দেশের বাইরে।
সোমবার বিকেলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি শুনেছি তিনি দেশের বাইরে গেছেন। কীভাবে গেছেন তা জানা নেই। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া কীভাবে বিদেশে গেলেন, তা আমরা আদালতের নজরে আনবো।
ইমিগ্রেশন পুলিশের দুপুরের শিফটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘এখানে ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে তিনজন অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। দুপুরের শিফট চলাকালীন হাজি সেলিম নামে কেউ দেশ ছাড়েননি। অন্য শিফটের বিষয়ে আমি বলতে পারছি না।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম গতকাল রোববার একটি টেলিভিশনে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় হাজি সেলিমের সংসদ সদস্য পদ আর নেই। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশ যেতে পারেন না। তার তো আত্মসমর্পণ করার কথা।
যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত হাজি সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেহেতু তিনি কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে পারেন না বলে মনে করছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক)।
রোববার বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সর্বোচ্চ আদালত তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে পারেন না। যারা তাকে দেশত্যাগে সাহায্য করেছেন, তারা বড় অপরাধ করেছেন। তারা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। এখন তিনি দেশে ফিরে না এলে তখন কী হবে? সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার দেশে ফেরার সম্ভাবনাও কম।