দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে খেলাফত মজলিস। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে আকরাম টাওয়ারে সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে মিছিল বের করেন দলের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে আজ লঞ্চ-বাস ভাড়া বেড়েছে, খাদ্য সামগ্রীসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ আজ চলতে পারছে না। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। মানুষ বাঁচানোর আন্দোলনে জনগণ মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে। অবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি হাজী নূর হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মূফতি আবদুল গণি, ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি আহসান আহমদ খান প্রমুখ। সমাবেশের আগে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর আকরাম টাওয়ারের সমানে সমাবেশে মিলিত হয়।
ড. আহমদ আবদুল কাদের সমাবেশে বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান সরকারের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের হীন উদ্দেশ এ সিদ্ধান্ত দেশবাসী মেনে নেবে না।’
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী ছাড়াও এদিন একই ইস্যুতে সিলেট মহানগরী, চট্টগ্রাম মহানগরী, বরিশাল মহানগরী, হবিগঞ্জ জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন শাখায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।