দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা করতে দেব না : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যশস্যের দামের উপর পড়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশেও সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ অবস্থায় মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সরকার নিরলস চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া গরিব মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য ভর্তুকিতে কম মূল্যে দেশের এক কোটি পরিবারকে নিত্যপণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।’
আজ রোববার টাঙ্গাইলের মধুপুরে মালাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মধুপুর পৌরসভা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমান সরকার সবসময়ই দুঃখ-কষ্টে জনগণের পাশে ছিল, আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে। আজ এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হবে না, কোনো সংকট হবে না। সরকার এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। প্রয়োজনে আরও খাদ্য ও সহায়তা নিয়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াব। করোনা ও যুদ্ধের কারণে সাময়িকভাবে এ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিন পরেই রোজা শুরু হচ্ছে। রমজান মাসে ঈদের আগে আমরা ভিজিএফ দেব, ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করব। পর্যায়ক্রমে ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া এপ্রিলের মাঝামাঝিতে নতুন ফসল আসবে। সব মিলিয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। খুব শিগগিরই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে আশা করি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে, নিত্যপণ্যের সামান্য দাম বৃদ্ধিকে অতিরঞ্জিত করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পায়তারা করছে। প্রতিবাদের নাম করে আন্দোলন-কর্মসূচি দিয়ে দেশে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্য কিছুটা বাড়লেও দেশে খাদ্যদ্রব্যের কোনো হাহাকার নেই, সংকট নেই। এ অবস্থায়, বিএনপি যদি মনে করে দ্রব্যমূল্য কিছুটা দ্ধির জন্য দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করবে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, সেটি তারা কিছুতেই পারবে না। তাদের এ অপপ্রয়াস অতীতের মতো এবারও ব্যর্থতায় পরিণত হবে।’
অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।