ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ : মেঘদলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে মেঘদলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ শুভ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ শুভ বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা করেন ইমরুল হাসান নামের এক আইনজীবী। এর পরে বিচারক ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদী অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান আজ সোমবার মামলা প্রত্যাহারের জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালতে আবেদন করেন। এরপর বিচারক মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।’
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ শুভ জানান, মামলায় মেঘদলের ভোকাল শিবু কুমার শীল, মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটারিস্ট ভোকাল রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটারিস্ট এম জি কিবারিয়া, ড্রামার আমজাদ হোসেন, কি-বোর্ডিস্ট তানভীর দাউদ রনি ও বংশীবাদক সৌরভ সরকারকে আসামি করা হয়েছিল।
বাদী মামলায় অভিযোগ করে বলেন, “গত ২৬ অক্টোবর বাসায় অবস্থানকালে সকাল ৭টার দিকে ইউটিউবে দেখতে পান গানের তালে হজের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিকে ইসলামে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজনা তথা আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে বিকৃত সুরে গান আকারে বিকৃতাকারে অশ্রদ্ধার সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাতালের ন্যায় গাওয়া হচ্ছে। এ দোয়া প্রতিটি মুসলিমের কাছে বিশুদ্ধ ও পবিত্র। এ দোয়া বা প্রার্থনা সাধারণত হজের সময় বিনয়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাভক্তি দিয়ে পাঠ করা হয়। গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসিতে ভাস্কর্যের সামনে করা হয় এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, মুসলমানদের পবিত্র কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়।”