ধামরাইয়ে সরকারি গাছ কাটায় চারজনের নামে মামলা
ঢাকার ধামরাইয়ে সরকারি রাস্তা থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগে বেসরকারি সংস্থা সজাগের পরিচালকসহ চারজনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালিব আল মোমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বেসরকারি সংস্থার (সজাগ) পরিচালক আব্দুল মতিন (৬২), ম্যানেজার মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ (৫০), গাছের ক্রেতা মো. হানিফ আলী বেপারী (৩০) ও সধু বেপারী (৬০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগের কোনো অনুমতি ছাড়াই সজাগ (এনজিও) ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের চাপিল এলাকা থেকে নওগাঁও পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ১০৭টি গাছ এবং কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকা থেকে পথহারা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার ২৫টি গাছসহ মোট ১৩২টি গাছ বিক্রি করে।
ধামরাই উপজেলার বন কর্মকর্তারা গাছ কাটতে বাধা দিলে এনজিও কর্মকর্তারা ও গাছের ক্রেতা বলেন, আমরা গাছ কাটবই। আপনারা যা পারেন তাই করেন। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পর সজাগ কর্তৃপক্ষ আরও বেশি করে জনবল নিয়ে গাছ কাটার দুটি দা, দুটি কুড়াল, দুটি করাত, সাবল, রশি নিয়ে আসে গাছ কাটার জন্য।
ধামরাই উপজেলা বন বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস্তার দুই পাশে ১৯৯০ সালে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় গাছ লাগানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে সজাগ এনজিওর সঙ্গে ওই কর্মকর্তাদের কোনো চুক্তি হয়নি। পরে বন বিভাগকে বিষয়টি না জানিয়ে সজাগ এনজিওর কর্মকর্তারা রাস্তার দুই পাশের ১৩২টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় নয় লাখ ১০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালিব আল মোমিন জানান, সজাগ বন বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়েই নিজেরদের ইচ্ছে মতো এই গাছগুলো বিক্রি করেছে এবং প্রায় সব গাছই কেটে ফেলেছে। দুই জাগায় মোট ১৩২টি কাটা গাছসহ গাছ কাটার যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিনকে বারবার ফোন করলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরকারি রাস্তার সরকারি গাছ কেটে নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। এভাবে সরকারি জায়গার গাছ কাটার এখতিয়ার কারো নেই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’