নওগাঁর স্কুলে ছাত্রী মারধরে তদন্ত কমিটি, পুলিশ মোতায়েন
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বুধবার এক শিক্ষিকার হাতে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেককে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল, পিটুনির শিকার শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে। সব পক্ষের বক্তব্যে মনে হয়েছে, স্কুল ড্রেস না পরে আসায় শিক্ষার্থীদের ওই শিক্ষিকা শাসন করেছেন। পিটুনির শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন সনাতন ধর্মেরও ছিলেন। শুধু তাই নয়; ঘটনার দিন ৬ এপ্রিল স্কুল ড্রেস পরে না আসার কারণে একজন শিক্ষকও কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থীকে শাসন করেন। পরে হিজাব বিতর্কের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে মনে হয়েছে।’
ইউএনও বলেন, ‘গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। এদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
গত বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার ‘দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের’ অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস না পরে আসায় মারধর করেন স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। ঘটনার পর ছাত্রীদের জড়ো হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইসব ভিডিওতে কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করে, হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ার পর তাদেরকে মারধর করা হয়েছে।