নওগাঁয় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পালসা গ্রামে বন্দকী জমির টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে মেহেদী হাসান লিওন (৩৫) নামের এক যুবকের খুন হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে ৭টার দিকে বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের পালশা দক্ষিণাপাড়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন পালশা দক্ষিণপাড়া গ্রামের এছাহাক আলীর স্ত্রী খুরসিদা বেগম ও তার ছেলে স্বাধীন হোসেন (২৫)।
বদলাগাছী থানা সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান লিওন একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার এছাছাক আলী কাছে ৫০ হাজার টাকায় কিছু জমি বন্দকী নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। পরবর্তীতে ওই জমির ওপর অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার টাকা নেয় এছাহাক আলী। জমি বন্দকী নেওয়ার সময় কখনও ওই জমিটি বিক্রি করলে মেহেদী হাসানকে জানাতে অনুরোধ করেছিলেন মেহেদী হাসান। সম্প্রতি ওই জমি মেহেদী হাসানকে না জানিয়ে এছাহাক আলী অন্যত্র বিক্রি করার উদ্যোগ নেন। বিষয়টি জানার পর মেহেদী হাসান ও তার ভগ্নিপতিসহ কয়েকজন সকাল ৭টার দিকে এছাহাক আলীর বাড়িতে যান। এ সময় মেহেদী হাসান জমি বন্দকের পাওনা টাকা ফেরত চান। এছাহাক আলী টাকা পরে দিবে বলে তাকে সাফ জানিয়ে দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এছাহাক তার স্ত্রী, ছেলে আসমাউল হুমায়ূন ও ছোট ছেলে স্বাধীন হোসেনকে ডাক দেন। এক পর্যায়ে তারা ধারালো কাঁচি দিয়ে মেহেদী হাসানের পেটের নিচে আঘাত করেন। মেহেদী হাসানের রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী হাসান মারা যান। ঘটনার পর এছাহাক আলী ও তার বড় ছেলে আসমাউল হুমায়ূন পলাতক রয়েছে। পুলিশ এছাহাক আলীর স্ত্রী খুরসিদা বেগম ও ছোট ছেলে স্বাধীনকে আটক করে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করা করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে চারজনতে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।