নওগাঁয় বিশেষ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন, একজনের মৃত্যু
নওগাঁয় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো এক সপ্তাহের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন। এই লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে পৌরসভার ২৩টি ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৮টি পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় দিনেই দেখা গেছে, বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। যানবাহন না থাকলেও রাস্তায় বেশকিছু রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। আবার অনেক মানুষ পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট এবং অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব যানবাহন। তবে কাঁচাবাজারগুলো সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনার কথা থাকলেও তা মানছে না।
আজ শুক্রবার সকালে নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, যারা যানবাহন, রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে বের হচ্ছেন তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম কাজ করছে।
জেলার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের আজ দ্বিতীয় দিন সদর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রশাসনিক তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের আরও দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছে। শহরের সবগুলো রাস্তায় এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের পাহারা চৌকি বসানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত টহলরত রয়েছে।’
নওগার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ধামইরহাট উপজেলায় নতুন করে আরও এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। জেলায় সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ জনে। জেলায় নতুন করে আরও ২৪ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৩৬৩ জন। এ সময় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১২ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০৪৭ জন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৩১৬ ব্যক্তি।’