নওগাঁ জেলা আ.লীগের সভাপতি মালেক, সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মো. আব্দুল মালেককে সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে তাজুল ইসলাম তোতা, ইলিয়াস তুহিন রেজা ও হাসানুল আল মামুনকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মো. আব্দুল মালেককে সভাপতি ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জমান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফতার, আনোয়ার হোসেন হেলালসহ স্থানীয় নেতারা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির বক্তব্য হলো খালি কলসি বেশি বাজার মতো। যারা জামিন নেওয়ার জন্য পুরুষ হয়েও বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হয়, তারা নাকি সরকার পতন ঘটাবে। আমরা গত কয়েক বছর আগে দেখেছি, বিএনপি নেতারা বোরকা পরে হাইকোর্টের জামিন নিতে গিয়েছিলেন। এই লজ্জা বিএনপি কোথায় রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনার স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটি তাদের বিষয়।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তারা অংশগ্রহণ না করে ভেবেছিল ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেবে। বরং সরকার আরো শক্তিশালী হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার অত্যন্ত সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কি উঠবে না সেটি বিএনপির ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।