নওগাঁ সীমান্তে স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ভারতে পাচারকালে ছয়টি স্বর্ণের বারসহ গোলাম কিবরিয়া (৩৮) নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে ১৪ বিজিবি। আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন।
আটক গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ধামইরহাট উপজেলার চকবদল গ্রামে। তিনি এলাকায় মাদক, গরু পাচারসহ বিভিন্ন গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানায় বিজিবি।
সংবাদ সম্মেলনে পত্নীতলার ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন জানান, ধামইরহাট সীমান্তে আটক গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারি সঙ্গে জড়িত। ধামইরহাট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এমন একটি তথ্য বিজিবির হাতে আসে। এরপর থেকে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর চলাফেরা মনিটরিং করছিল বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবির পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের স্পেশাল অপারেশন টিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধামইরহাট উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন চকিলাম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে। এরপর তাঁর শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। যার বাজার মুল্য ৫৩ লাখ টাকার বেশি।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, আটক করা ব্যক্তি মাদক, গরু চোরাচালানের পাশাপাশি এখন সোনা চোরাকারবারির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব স্বর্ণ ভারতে পাচারের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়টি বিজিবি মনিটরিং করছে।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা আশা করি—এমন অপরাধ দমনে আমরা সফল হতে পারব। আটকের পর আসামিকে ধামইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো জেলঅ ট্রেজারি অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, ধামইরহাট সীমান্তের পৃথক স্থানে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে পাচারকালে ভারতীয় কসমেটিকস ও শিশু খাদ্য উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য আট লাখ টাকা।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারিরা ভারত থেকে পণ্যগুলো বাংলাদেশ অবৈধভাবে নিয়ে আসছিল। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে চোরাকারবারিরা পণ্যগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে।