নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক মার্কেট বন্ধ : ভোক্তা অধিদপ্তর
নকল প্রসাধনী বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ছাড়া মার্কেটে নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সফিকুজ্জামান এ হুঁশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজার অভিযানের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে মৌলভীবাজার মালিক সমিতি দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, সরকারি কর্মকর্তারা কিন্তু সরকারি কাজে সেখানে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া জামিন অযোগ্য অপরাধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার আইনের বাইরে আরও অনেক আইন আছে। আমরা রোববার থেকে কিছু টার্গেটেড অভিযান করবো। এই অভিযানে যেন আমরা সহায়তা পাই। এরপর যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাদের আইনে অনেক কিছুর প্রোটেকশন দেওয়া আছে। আমি কখনও হার্ড লাইনে যেতে চাই না। আপনাদের বিষয় আপনারাই দেখেন।’
দেশ নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে ভরে গেছে জানিয়ে ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, ‘এমন কোনো কসমেটিকস নেই, যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোতে এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কাপড়ে ভেজাল বেশি হয় না। কিন্তু, কসমেটিকসের অবস্থা ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।’
গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলেন জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কসমেটিকস মূলত প্যাকেটজাত, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু, প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনো মোড়ক থাকে না।’
কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয় জানিয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘অভিযানে দেখা গেছে, পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে। তবে, আমদানিকারকদের কোনো তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনো সিল থাকে না। প্রতিটি পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।’