নতুন প্রজন্ম বিনোদনের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্ম চলচ্চিত্র, নাটকসহ বিভিন্ন বিনোদনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে। তারা প্রেক্ষাগৃহে কিংবা নাট্যশালায় যায় না। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমা দেখে। তাদের বাদ দিয়ে এ শিল্পে সফল হওয়া যাবে না।’
মন্ত্রী গতরাতে ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এএমএবি আয়োজিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার প্রেক্ষাগৃহ নির্ভর চলচ্চিত্রের প্রচলিত ব্যবস্থা ডিজিটাল মাধ্যম নির্ভর ব্যবস্থায় রূপান্তরে শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা বা চলচ্চিত্র সব সময়ই প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিত্যনতুন উদ্ভাবন। গণযোগাযোগের ধারায় বিকাশমান একটি শিল্প হলো ডিজিটাল চলচ্চিত্র। নয়া প্রযুক্তিকে ধারণ করেই এর অগ্রযাত্রা। এখানে আছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। শক্তিশালী বিনোদন মাধ্যম এবং শিক্ষার অন্যতম সেরা উপকরণ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে চলচ্চিত্রের। ছায়াছবির সঙ্গে ভিজ্যুয়াল বিশ্বের সমন্বয় থাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে এটি।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, সাপ্তাহিক চিত্রালীসহ দু-একটি বিনোদন পত্রিকার সঙ্গে ১৯৮৩ সালে মাসিক নিপুণ পত্রিকা সংযুক্ত হয়ে এ বিনোদন জগৎকে প্রিন্ট মিডিয়ায় তুলে আনা হয়। ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের দশকের বিনোদন মাধ্যমগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে ক্রমেই অচেনা হয়ে যাচ্ছে।’
মোস্তাফা জব্বার নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত সৃজনশীল ও মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৮৭ সালে সিসার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট তৈরি করার জন্য এ দেশে আমি একজন প্রোগ্রামার খুঁজে পাইনি। দিল্লিতে ভিন্নভাষী দেবেন্দ্র যোশী নামের একজন প্রোগ্রামারের সহযোগিতায় আমি কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যার তৈরি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন বদলের কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। আমরা সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রপ্তানি করছি। দেশে উৎপাদিত মোবাইল আমাদের মোট চাহিদার শতকরা ৯৬ভাগ মেটাতে পারছে।’
এএমএবি’র কর্ণধার রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মমতাজ বেগম এমপি এবং চলচ্চিত্র শিল্পাঙ্গনের নবীন ও প্রবীণ শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, টিভি ব্যক্তিত্বগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মনোনীত শিল্পীদের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম অ্যাওয়ার্ড-২০২২ হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।