নবনির্মিত সেনানিবাস হাওর এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এ সেনানিবাস নির্মাণের কারণে এবং মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও এলিভেটেড রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে হাওর এলাকার মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির বাড়ির পাশে ঘোড়াউত্রা নদীর চরে সেনানিবাসটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর তিনি সেখানে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে যান। সেখানে সেনা সদস্যরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে যান এবং আমরা তারই ভিত্তিতে রূপকল্প-২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ দেশকে গড়ে তোলার জন্য। শূন্য হাতে শুরু করে জাতির জনক এত স্বল্প সময়ে দেশকে স্বপ্লোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলেই গত ১৪ বছরে দেশে এত উন্নতি হয়েছে যা বিগত ২৯ বছরেও হয়নি।’
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত অর্থনীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না। অনাবাদী থাকা সকল জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। আমাদের খাদ্য আমাদেরকেই উৎপাদন করতে হবে। অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে হবে। অর্থনৈতিক মন্দা যেন আমাদেরকে আক্রান্ত না করে সেজন্য সতর্কভাবে চলতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির ব্যবহারসহ সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে।’
সেনানিবাস উদ্বোধনের সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।