নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন এবং অন্তর্বর্তীকালের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদানসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা।
২. অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য মহার্ঘভাতা প্রদান করা।
৩. মন্ত্রণালয়ের ন্যায় এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা।
৪. টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন-যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সংগতি রেখে সকল ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা।
৬. ১০ম ধাপে বেতনস্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা।
৭. ব্লকপোস্টে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমাজের সভাপতি ও সমন্বয়ক মো. আনিছুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী, মো. লুৎফর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, মো. ইব্রাহিম খলিল, নিজামুল ইসলাম ভূঞা মিলন, মো. সাইফুল ইসলাম, শাহ মামুন, আসমা খানম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা স্বাধীনতার সুফল না পেয়ে চরম বৈষম্যের শিকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সকল সরকারি চাকরিজীবীর প্রাপ্ত বেতনের টাকায় ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’। যে সামান্য বেতন পাওয়া যায় তা দিয়ে আমাদের জীবন চলে না। আমাদের কর্মচারীরা এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একেকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
‘দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আমরা বিভিন্নভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ প্রায় ১২০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার পরে যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।’