নাইকো মামলা : ঘণ্টাব্যাপী শুনানি শেষে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, এ বিষয়ের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। একঘণ্টা শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
কেরাণীগঞ্জের কারা ভবনে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের অস্থায়ী আদালতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শুনানি শেষে মুলতুবির আদেশ দেন।
শুনানিতে এ মামলার আসামি মওদুদ আহমদের মৃত্যুর বিষয়ে গুলশান থানার পক্ষে প্রতিবদেন দাখিল করা হয়।
এর আগে গত ২ মার্চ প্রথমদিনের এক ঘণ্টার শুনানির পর গত ১৮ মার্চ শুনানির দ্বিতীয় দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানি শেষে ২৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে ওইদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু প্রতিবেদন দাখিল করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন মেসবাহ উদ্দীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এতে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।