নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ, ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৪ জন মৃত্যুর মামলায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল হোসেন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারায়ণগঞ্জে সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) নাসির উদ্দিন আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।’
এসপি বলেন, ‘এ মামলায় আসামিরা হলেন আব্দুল গফুর মিয়া, মো. সামসুদ্দিন সরদার, মো. শামসু সরদার, মো. শওকত আলী, মো. অসিম উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, নাঈম সরদার, তানভীর আহমেদ, আল-আমিন, আলমগীর সিকদার, মাওলানা মো. আল আমিন, সিরাজ হাওলাদার, নেওয়াজ মিয়া, নাজির হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুল মালেক, মনিরুল, স্বপন মিয়া, আসলাম আলী, আলী তাজম, কাইয়ুম, মামুন মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, বশির আহমেদ, মো. রিমেল, আরিফুর রহমান, মোবারক হোসেন ও রায়হানুল ইসলাম।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবীর।
মামলায় বলা হয়েছে, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মসজিদ নির্মাণে অবহেলাজনিত কারণ রয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগগঞ্জ শহরের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদের ভেতরে ৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেন ও চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। এর মধ্যে তিতাস ও জেলা প্রশাসন তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ঘটনার পর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।