নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব। কারণ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়ায় অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার পৌর অডিটোরিয়ামে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পলাশী মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আকতারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নারী উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যত কাজ করেছে অন্য কোনো সরকার তা করেনি। বাংলাদেশে আরও নেত্রী আছে, তারা নারী উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। বিএনপি ও তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও কোনো কাজ করেননি। উনারা শুধু নিজের উন্নয়নের কাজ করেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে নারী উন্নয়ন হয়েছে তা পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কেউ ভাবেনি একজন নারী ডিসি-এসপি হবেন। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের অনেক ইউএনও নারী, অনেক জেলার ডিসিও নারী। এবং তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর অভাবনীয় ক্ষমতায়ন হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে নারী ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন জনগণের রায়ে প্রথম সরকারের দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। আমাদের নেত্রী হাইকোর্টের জজ নিয়োগ দিয়েছিলেন নারী, হাইকোর্টের আপিল বিভাগের জজও নিয়োগ দেন নারীকে। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ের নারী সচিব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি ক্ষেত্রেই নয়, গ্রাম-গঞ্জ সবখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিশ্চিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সন্তান জন্মের পর আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু পিতার নাম লেখা হতো, এখন মায়ের নামও লেখা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কখনো দাবি দেননি স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু জননেত্রী তা চালু করেছেন। ইউরোপেও এই ভাতা নেই। মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনা যেসব ভাতা চালু করেছেন তা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ। ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে।
নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের যেই অবদান সেটি ভোটের সময়ও নারীদের মনে রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। এ দেশের নারীসমাজ যাতে ভোট এলে নৌকা প্রতীক ভুলে না যায়, সেজন্য গ্রামেগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে।
সম্মেলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলু আরা ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক বাসন্তী প্রভা পালিত যথাক্রমে উদ্বোধনী ও প্রধান অথিতির বক্তব্য দেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।