নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া
গাইবান্ধায় বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। আজ সোমবার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে পৌনে ৬টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদের এ ডেপুটি স্পিকারের গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এতে ইমামতি করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর ভাগনে আলহাজ রোকনুজ্জামান স্বপন। দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাঘাটার বোনারপাড়ার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ এসে পৌঁছায়। প্রথমে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম। এরপর একে একে বিভিন্ন ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষ মরদেহে ফুল দিয়ে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। এরপর ডেপুটি স্পিকারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী, স্বজন ও সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
তাঁর আগে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে বেলা পৌনে ১১টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আজ সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব।
ওই জানাজায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি মহোদয়, আইনজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে মারা যান। ফজলে রাব্বী মিয়ার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ফজলে রাব্বী মিয়া নয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে সপ্তম বারের মতো জয়ী হন।
জানা গেছে, ফজলে রাব্বী মিয়া নয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। ফজলে রাব্বী মিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে সপ্তম বারের মতো জয়ী হন।