নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে যে পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিতদের ৭০ শতাংশের বেশি সাধারণত মারা যায়। যারা কাঁচা খেজুরের রস এবং আংশিকভাবে পাখি, বিশেষ করে বাদুড়ের খাওয়া ফল খান, তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছে। সে হিসেবে, এসব বিষয় মাথায় রেখে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে এই ভাইরাস থেকে।
অন্যদিকে, অধিদপ্তর জানিয়েছে—সুস্থ ব্যক্তিরা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এলেও নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিকটা খেয়াল রেখে আক্রান্তদের সেবাদানে দৃষ্টি দিতে হবে।
তবে, ‘রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে; কেননা আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় না’, বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নিপাহ ভাইরাসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই সংক্রমণ মোকাবিলায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট ২০টি আসন প্রস্তুতের কথাও বলেছে এই অধিদপ্তর।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের (ডিজিএইচএস) পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. শেখ দাউদ আদনানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা ও তথ্য তুলে ধরা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে, রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে, জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে আবশ্যিকভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে, জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে।
ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে—রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে; কেননা আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় না।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত হটলাইন প্রকাশ করেছে। যেকোনো তথ্যের জন্য কল সেন্টারের ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩ যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে।