নিবন্ধনধারী ২৫০০ জনকে নিয়োগে সুপারিশ করতে এনটিআরসিএকে নির্দেশ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক এক থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী আড়াই হাজার জনকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীর নিয়োগের বিষয়ে বাধা কাটল। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ মে এনটিআরসিএ কর্তৃক এক থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ ৩১ মে দিন ধার্য রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
ওইদিন পর্যন্ত ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিতাদেশের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।
আদালতে এনটিআরসিএর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।
এর আগে গত ৬ মে এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত।
ওইদিন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ বলেছিলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী প্রায় আড়াই হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ ইত্তেফাকে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি এই সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
গত ৭ মার্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক এক থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।
আদালতে এই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না করে তারা শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।
নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করা হবে।
কিন্তু দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।