নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাথাপিছু আয় গত ১৩ বছরে সাড়ে চারগুণ বেড়েছে। নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে। এখন একজন শ্রমিক সারা দিন কাজ করে যে অর্থ আয় করেন, তা দিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারেন।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আলম, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “সন্ধ্যার পরে কিংবা ভর দুপুরে ঢাকা বা অন্য শহরের অলিতে গলিতে কিংবা গ্রাম গ্রামান্তরে ‘মা আমাকে একটু বাসি ভাত দাও’ ডাক শোনা যায় না। এখন কাউকে এক মুষ্ঠি চাল ভিক্ষা দেবেন, সেই দিনও চলে গেছে।”
বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গত কয়েকদিন ধরে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলছেন। করোনা ও সাম্প্রতিক যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। একই সঙ্গে যে অসাধু ব্যবসায়ীরা যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সুযোগ নিয়ে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কারণ কোনো দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া কোনো সৎ ব্যবসায়ীর কাজ নয়।’
‘আজকের দিনে কেউ যদি কাউকে বাসি ভাত দেয়, তাহলে সেই ভাত তার মুখের ওপর ছুঁড়ে মারার সম্ভাবনা আছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সমস্ত মানুষ আগের তুলনায় ভালো আছে। মির্জা ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন সারের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। কৃষকের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। শুধু যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের উন্নয়ন হয়েছে। আজকে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। তাই মির্জা ফখরুল সাহেবদের বলব যে, এই ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে আপনারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক জিয়ার শাস্তির মধ্যে আটকে থাকা থেকে আপনাদের রাজনীতিটাকে মুক্ত করুন।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে যেভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য সত্যিই একটি উদাহরণ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নারী হবেন এটি আগে কেউ ভাবেনি। সংবাদপত্রের পাশাপাশি টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে বহু নারী এখন কর্মরত। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার মনে করে, দেশের অগ্রগতির জন্য নারী অগ্রগতি আবশ্যক। সে কারণে তার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও প্রগতির সুফল পাচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছেন, যদি আগের সরকার প্রধানরা একইভাবে কাজ করতেন, তাহলে বাংলাদেশের নারীরা আরও এগিয়ে যেতে পারত।’
প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাকসুর প্রথম নারী সহ-সভাপতি মাহফুজা খানমকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।