নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরই আমাদের (বাংলাদেশ) অবস্থান। আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরই আমাদের অবস্থান।’
অনুমোদনহীন ইজিবাইক, নসিমন, করিমন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির বিষয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নীতিমালা করা হচ্ছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব যানবাহনের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে (৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত) বিআরটিএ অনুমোদিত (রেজিস্ট্রেশন করা) গাড়ির সংখ্যা ৫৫ লাখ, ৮২ হাজার ৩১০টি। বর্তমানে অনুমোদনহীনভাবে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি রাস্তায় চলাচল করছে। এ ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব যানবাহনের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিভিন্ন সড়কে ছয়টি বাঁক সোজা করা হয়েছে। মহাসড়কসমূহে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হচ্ছে।’
সড়ক পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নকল্পে গত বছর ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে কয়েকটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালে গাড়িচালকদের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। গাড়িচালকদের বিশ্রামের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসিতে কর্মরত সব চালকের পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্ট করা হবে।’