নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল সংসদে উত্থাপন
জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়েছে। আজ শনিবার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক স্পিকারের অনুমতি নিয়ে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। ষাট দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলটি সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় সংসদের একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক সরকারের অধীনে জারি করা সব আইনের বৈধতা দেওয়া সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আইনটি ইংরেজি থেকে বাংলায় করতেই মূলত বিলটি আনা হয়েছে।
সামরিক সরকারের আমলে জারি হওয়া ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্সের’ সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। এই আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ওই ‘অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে।
বিদ্যমান আইনের আটটি ধারার স্থলে প্রস্তাবিত আইনে নয়টি ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে নেই।
বিলে আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে উক্ত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকায় ভাগ করার কথা বলা হয়েছে।