নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সুন্দরবনে চলছে মাছ-কাঁকড়া আহরণ
মাছ ও কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কয়েক স্থানে চলছে কাঁকড়া ও মাছ আহরণ। বনের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০টি নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। তবে জেলেদের দাবি, ‘বন কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে খুশি করে, পাস নিয়ে তাঁরা বনে ঢুকেছেন।’
গত ১ জুন থেকে ৬৬ দিনের জন্য সুন্দরবনে পাস-পারমিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই সময়সীমা পরে আরও একমাস বৃদ্ধি করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বনবিভাগের লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেলেরা সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালি ফরেস্ট স্টেশন থেকে এসব পাস সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি পাশের বিপরীতে নৌকাপ্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়েছে। অপরদিকে, টেংরাখালি, কাচিকাটা ও নটাবেকীর টহলফাঁড়ি এলাকায় চলছে মাছ ও কাঁকড়া ধরার উৎসব।
সুন্দরবন উপকূলের জেলে ও বাওয়ালিরা জানান, বনের এসব এলাকায় আজিজুল ঢালীর তিনটি, বাবু মোল্লার দুইটি, বাবলুর দুইটি, আসাদুলের একটি, বিকাশের একটি ও শমসের আলীর একটিসহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি নৌকা মাছ ও কাঁকড়া ধরার কাজ করছে।
জেলেরা জানান, তাদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন আড়াই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে জেলেরা মাছ ও কাঁকড়া ধরছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৈখালি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাউকে পাস দেওয়া হয়নি। তবে চুরি করে কোনো জেলে মাছ ও কাঁকড়া ধরে থাকলে তাদের আটক করা হবে।’
পাসের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মোবারক হোসেন আরও বলেন, ‘বনে অবৈধ প্রবেশকারীদের খুঁজে পেতে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’