নিহত ফায়ার ফাইটার রনির বাড়িতে শোকের মাতম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিসকর্মী রমজানুল ইসলাম রনির বাড়ি শেরপুরে। তিনি সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুঘাটা গ্রামের দলিল লেখক আঙ্গুর মিয়ার বড় ছেলে। ফায়ার সার্ভিসকর্মী নিহতের তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে তার নাম। নিহত রনির বাবা জেলে থাকায় তার মা ও আত্মীয়স্বজন মরদেহ আনতে চট্টগ্রাম রওনা হয়েছেন।
নিহত রনির ফুফু জানান, দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে চাকরিতে যোগ দেন রনি। তার পোস্টিং হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে। সীতাকুণ্ডেই স্ত্রী রূপা খাতুনকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। ঘটনার দিন তিনি সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নেভানোর দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিস্ফোরণে নিহত হন তিনি। তার স্ত্রী রূপা খাতুন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার পরিধেয় টি-শার্ট দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
এদিকে নিহত রনির বাবা একটি মামলায় কারাগারে থাকায় তার মা ও তার এক জ্যাঠা আবুল কাশেম তার মরদেহ আনতে চট্টগ্রাম রওনা হয়েছেন। তার বৃদ্ধ দাদাসহ আত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে এলাকায় শোক বিহ্বল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।