নীতিমালা না মানা নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ বিএনএর ৫ দাবি
নীতিমালা না মানা বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)। আজ রোববার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিএনএর সদস্য সচিব মইনুল হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পাসের পর ৩-৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি সম্পন্নকারীরা শুধু ছয়মাসের ক্লিনিক্যাল প্র্যাক্টিস সম্পন্ন করলে, তা তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমতুল্য হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অবমাননা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি গ্রুপকে এইচএসসি পাসের পর ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তি করার পর একাডেমিক সনদ সরবরাহ করছে।
‘অপরদিকে, এসএসসি পাসের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্ট ডিগ্রিধারীদের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈষম্যমূলকভাবে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সম্মাননা দিচ্ছে। সাধারণ নার্সদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনএর সভাপতি খান মো. গোলাম মোরশেদ, বিএনএর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি নাসিমুল হক ইমরান, সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান প্রমুখ।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদের দাবিগুলো হলো–
১. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের’ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমানের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে এইচএসসি পাসের পর তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক ডিগ্রিতে রূপান্তর করতে হবে।
২. গ্র্যাজুয়েট নার্সদের জন্য নার্সিং পেশায় স্পেশাল ক্যাডার সার্ভিস (সেবা ক্যাডার) অবিলম্বে চালু করা এবং প্রথম শ্রেণির শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. সরকারি চাকরিতে কর্মরত নার্সদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য টেকনিক্যাল পেশাজীবীদের ন্যায় পূর্বে প্রদানকৃত চাকরির শুরুতে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদানের সুবিধা বহাল রাখতে হবে।
৪. নার্সিং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করতে হবে।
৫. নীতিমালা অনুসরণ না করে যেসব বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।