নীলফামারীতে আলেশা মার্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আলেশা মার্ট’ এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে চেক ডিজঅনারের মামলা হয়েছে। গতকাল রবিবার নীলফামারীর আমলী আদালত-১ এ মামলাটি করেন প্রতারণার শিকার জেলা শহরের শহীদ তিতুমীর সড়ক এলাকার বাসিন্দা সাকিব উল ইসলাম।
মামলা সুত্রে জানা যায়, অফারে প্রলুদ্ধ হয়ে আলেশা মার্ট থেকে একটি পালসার মডেলের মোটরসাইকেল কেনার জন্য গত বছরের ২০ জুন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৫ টাকা পরিশোধ করেন সাকিব। ৪৫দিনের মধ্যে মোটরসাইকেলটি হস্তান্তর করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পরও তা বুঝিয়ে দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
টাকা ফেরত নিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করলে তিনি তাঁর স্বাক্ষরে এক লাখ ৬৩ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন সাকিবকে। টাকা তুলতে চেকটি অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখায় কয়েক দফায় জমা করেও ওই হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় সাকিব টাকা তুলতে পারেননি। এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই চেকটি নীলফামারী অগ্রণী ব্যাংক থেকে ‘ডিজঅনার’ হিসেবে শ্লিপ দেয়া হয় সাকিবকে।
পরে আলেশা মার্ট চেয়ারম্যানের কয়েকটি বাণিজ্যিক দপ্তরে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে একটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের নাসির নামে এক ব্যক্তি। বাকিগুলো ফেরত আসে।
বাধ্য হয়ে প্রতারণার শিকার সাকিব নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় নীলফামারীর আদালতে মামলা করেন।
সাকিব উল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তির ছবি দেখা গিয়েছিলো, গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছিল এছাড়া আলেশা মার্টকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবেও দেখা গেছে অথচ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। যার শিকার হয়েছি আমি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেল চাই না, টাকা ফেরত চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে মামলা করেছি।’
মামলার আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, মামলা হওয়ায় বিবাদীর প্রতি সমন নোটিশ জারি করা হয়েছে আদালত থেকে। নোটিশ গ্রহণ করলে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। তিনি আরও জানান, এনআই অ্যাক্টে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে।