নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী হত্যার বিচার দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন
নেত্রকোনার বারহাট্টার প্রেমনগর সালিমপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনতা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) বেলা ১১টার দিকে ‘আর কত খুন হলে জীবন নিরাপদ হবে’ শিরোনামে জেলা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের বিপরীত পাশে শশীলজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিপিবির জেলা সভাপতি ইমদাদুল হক মিল্লাত, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি শিব্বির আহমেদ লিটন, মানবাধিকার জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, ময়মনসিংহ মহিলা পরিষদের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন, বাকৃবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আলাউদ্দিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক ইয়াজদান কোরাইশী কাজল, অধ্যক্ষ নুরজাহান পারভীন, চিত্রশিল্পী মো রাজন প্রমুখ।
গ্রেপ্তার হওয়া হত্যাকারীর সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও কাউসারের ফাঁসির দাবি করে বক্তারা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী বিদ্বেষী প্রচারণার ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে নারী বিদ্বেষ সহিংসতা আরও বেড়ে গেছে।’
গত মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে সালিমপুরা গ্রামের রাস্তায় বখাটে কাউসার কতিপয় সহযোগী নিয়ে মুক্তির পথরোধ করে। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও ঘারে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মুক্তিকে স্থানীয়রা প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেল চারটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তি রাণী বর্মণ বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়্যুথ গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
নিহতের বাবা নিখিল বর্মণ বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় বুধবার রাতে কাউসারকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এর আগে বেলা তিনটার দিকে পুলিশ কাউসারকে গ্রেপ্তার করে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মুক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।