নেশার টাকার জন্য প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নেশার টাকার জন্য প্রতিবেশী এক মাদকাসক্তের মারধরে হাজেরা বেগম নামে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তার দুই শিশু সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের জগন্নাথপুর কমলার মোড় এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী মাদকাসক্ত আরিফ নামের এক যুবক মাদক সেবনের জন্য প্রবাসী রমিজ মিয়ার স্ত্রী হাজেরার ঘরে ঢুকে ১০০ টাকা দাবি করে। হাজেরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আরিফ তার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু সন্তান আফসানা ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুহুল আমিনকে মারধর শুরু করে। এ সময় সন্তানদের বাঁচাতে তিনি এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে আহত করা হয়। গতকাল শনিবার হাজেরা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আজ রোববার মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে নিহত হাজেরার বড় মেয়ে রুকসানা বেগম ও মেয়ের জামাই উজ্জ্বল মিয়া জানান, আরিফ ও তার পরিবারের সবাই মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা। আরিফ প্রায়ই মাদক সেবনের টাকার জন্য তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করত। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. ফজলু মিয়া বলেন, ‘নেশার টাকা না পেয়ে আরিফ প্রতিবেশী হাজেরা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আরিফ ও তার পরিবারের সবাই মাদক সেবনকারী। এ ঘটনায় আমরা ঘাতকের বিচার চাই।’
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আরিফদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ সময় প্রতিবেশীরা জানায়, হাজেরা বেগমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আরিফদের পরিবারের সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহআলম মোল্লা বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত হাজেরার মেয়ে রুকসানা বেগম থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’