নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলটির দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে চেয়ারসহ সম্মেলনস্থলের জিনিসপত্র। এমন পরিস্থিতিতে পণ্ড হয়ে যায় সম্মেলন। আজ রোববার দুপুরের দিকে জয়াগ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাফিজ তানভির, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন বাবু, জয়াগ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাব্বিসহ অন্তত ১২ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্যকে সমন্বয়ক করে সোনাইমুড়ীর জয়াগে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা না এলেও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পরে অনুষ্ঠানস্থলে সংসদ সদস্য এ এইচ এম ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সম্মেলনের সমন্বয়ক ফুয়াদ হোসেন আসেন। এ সময় অনুষ্ঠান আগে শুরু হওয়া নিয়ে অতিথিদের সাথে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে জয়াগ মহাবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এইচ এম ইব্রাহিম অনুষ্ঠানস্থলে আসতে দেরি হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু মোবাইলে তাঁর অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। কিন্তু তাতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আপত্তি জানালে বিরোধের সূত্রপাত হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কিছু হয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।